ই-গভর্নেন্স-এর উদ্দেশ্য বর্ণনা কর


প্রশ্নঃ ই-গভর্নেন্স-এর উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।

ভূমিকাঃ 'ই-গভর্নেন্স' (E-Governance) শব্দটি Electronic Governance-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর অর্থ হলো 'ইলেক্ট্রনিক গভর্নেন্স'। অনেক সময় একে 'ডিজিটাল গভর্নেন্স', 'অনলাইন গভর্নেন্স' ও প্রযুক্তিচালিত গভর্ন্যান্স বা শাসন নামেও অভিহিত করা হয়।


ই-গভর্নেন্স-এর উদ্দেশ্য (Aims & Objectives of E-Governance): ই-গভর্নেন্স-এর উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ

১. ই-গভর্নেন্স-এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা। 

২. সরকার পরিচালনা ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনয়ন করা।

৩. প্রশাসনকে গতিশীল করা। 

৪. দ্রুত জনগণের নিকট বিভিন্ন সেবা ও সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। 

৫. দক্ষ ও সাশ্রয়ী পন্থায় জনগণের নিকট সেবা পৌঁছানো।  

৬. সরকারি তথ্য ও সেবা জনগণের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া। 

৭. প্রশাসনের দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। 

৮. জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি। 

৯. ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের নিকট তথ্য প্রাপ্তিকে সহজলভ্য করা। 

১০. দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের.বা সংশ্লিষ্টতার সুযোগ সৃষ্টি । 

১১. নাগরিকদের মধ্যে সেবার মান উন্নীতকরণ। 

১২. জনগণকে ঘরে বসেই সেবা ও সুযোগ লাভের সুযোগ করে দেওয়া। 

১৩. জবাবদিহিতা নিশ্চত করা। 

১৪. তথ্যপ্রবাহে অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা।

১৫. গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করা। 

১৬. ই-কমার্সের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন সাধন করা। 

১৭. শাসন ব্যবস্থাকে সহজ ও উন্নত করা। 


উপসংহারঃ ই-গভর্নেন্স-এর লক্ষ্য হলো সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মদক্ষতা করা। অনলাইনের মাধ্যমে পাবলিক ডেলিভারি ও সেবা সহজে জনগণের নিকট পৌছে দেয়ার ফলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক