ভূমিকা: পৃথিবী মূলত একটি গোলাকার বস্তু, কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনে আমরা এর বিভিন্ন অংশকে সমতল কাগজে উপস্থাপন করি। যেহেতু গোলককে সমতলে হুবহু প্রকাশ করা সম্ভব নয়, তাই কিছু নিয়ম ও গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে সমতলে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় মানচিত্র অভিক্ষেপ। ভূগোল, জরিপকর্ম, পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সংজ্ঞা: মানচিত্র অভিক্ষেপ হলো একটি গাণিতিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পৃথিবীর গোলক বা ভূ-পৃষ্ঠের স্থানাঙ্ক (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ)কে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে সমতল মানচিত্রে রূপান্তর করা হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, পৃথিবীর ত্রিমাত্রিক পৃষ্ঠকে দ্বিমাত্রিক মানচিত্রে প্রকাশ করাই মানচিত্র অভিক্ষেপ।
বিষয়টির ব্যাখ্যা:
-
অভিক্ষেপের মাধ্যমে পৃথিবীর আকার, আয়তন, দূরত্ব বা দিক সঠিকভাবে বা আংশিক সঠিকভাবে সমতলে উপস্থাপন করা হয়।
-
অভিক্ষেপ প্রণয়নে বিভিন্ন মাপনী (Scale) ব্যবহার করা হয় যাতে গোলক থেকে সমতলে স্থানান্তরের সময়ে অতিরিক্ত বিকৃতি (Distortion) না ঘটে।
-
মানচিত্র অভিক্ষেপের প্রধান কয়েকটি ধরন হলো—
-
বেলনাকার অভিক্ষেপ (Cylindrical Projection)
-
শঙ্কুজাত অভিক্ষেপ (Conical Projection)
-
সমতল বা আজিমুথাল অভিক্ষেপ (Azimuthal Projection)
-
-
এর মাধ্যমে ভৌগোলিক তথ্য সহজে তুলনা, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়।

0 মন্তব্যসমূহ